যাদের ওজন একটু বেশী, তারাই এ সমস্যায় পড়ে থাকেন। প্রসাধনী ব্যবহার করেও কোনও উপকার পাচ্ছেন না। কারণ এটা বসে যাওয়া জেদি দাগ, তাই এ দাগগুলো হটাতে একটু পরিশ্রম তো করতেই হবে? কী পরিশ্রমের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলেন? না ভয় পাওয়ার কিছু নেই ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন!
তাই আসুন জেনে নিন কীভাবে আধা ঘণ্টায় চলে যাবে স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ:
আলুর রস : আলু রস স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ সহজেই দূর করে। প্রতিদিন গোসলের আগে আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
শসার রস : শসার রস যে কোনও স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের কোনও ক্ষতিও হয় না। দাগের স্থানগুলোতে শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
লেবুর রস : লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে জ্বলুনি বাড়তে পারে। লেবুর রসের সঙ্গে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে লাগান আক্রান্ত স্থানে। লেবুর ও হলুদ দাগছোপ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
দুধ ও মুলতানি মাটি : কাঁচা দুধের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ পানি মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।
দই ও হলুদ : দইয়ের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত আলতো হাতে ঘষে ঘষে লাগান। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিটের জন্য। পরে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
সাবধানতা
* উপরের উল্লেখি যে কোন প্যাক ব্যবহারের পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার।
* গোপন অঙ্গে বাজারের নানা রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।
শরীরের গোপন স্থানের কালো ছোপ দূর করার উপায়
শরীরের গোপন ভাঁজগুলিতে কালো ছোপ কি আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে একান্ত
ব্যক্তিগত মুহূর্তে? গরম আসছে। তার মানেই ঘাম জমবে বাহুর ভাঁজে,
আন্ডারআর্মে, উরু আর যৌনাঙ্গের মিলনস্থলে, মহিলাদের স্তনের নীচের অংশে এবং
শরীরের আরও নানান গোপন অংশে। ঘামের সঙ্গে মৃতকোষ জমে এইভাবেই কালো ছোপ পড়ে
যায়। প্রতিদিন নিয়ম করে যদি কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মেনে চলা যায় তবে শরীরে এই
ছোপ পড়ে যাওয়া এড়ানো সম্ভব।
১) দাগ-ছোপ তুলতে সবচেয়ে বেশি কাজ দেয় অ্যালো-ভেরা। প্রতিদিন রাতে শুতে
যাওয়ার আগে আন্ডারআর্ম, ঘাড়, কনুই, উরুর ভিতরের অংশ, হাঁটু ইত্যাদিতে ভাল
করে মেখে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জেলটি শুকিয়ে যাবে। সারা রাত রেখে সকালে
ধুয়ে ফেলুন। দু’একদিনের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।২) একটি পাত্রে অল্প হলুদ, মধু অথবা টক দই আর এক কোয়া লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি স্নানের আগে আন্ডারআর্মে কিছুক্ষণ লাগিয়ে তার পরে ধুয়ে ফেলুন। রোজ না পারলেও সপ্তাহে দু’দিন করুন।তাপর ফল দেখুন নিজেই।
৩) পাতলা করে আলু কেটে তার উপরে কয়েক ফোঁটা পানি ফেলে ভিজিয়ে নিন। তার পরে সেটি ঘাড়, গলার ভাঁজ, আন্ডারআর্ম ও কনুইয়ে ঘষতে থাকুন। আলুর রস মৃতকোষ তুলতে সাহায্য করে।
৪) পাকা পেঁপে চটকে তার মধ্যে অল্প ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে একদিন স্নানের আগে ঘাড়, হাত, গলা, কোমরের নীচের অংশ, নিতম্বের তলার দিক ও উরুর ভিতরের দিকে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে অল্প টান ধরলে ধুয়ে ফেলুন।
৫) উরুর ভিতরের অংশের কালো ছোপ দূর করতে ভাল কাজ দেয় চিনি, মধু ও লেবুর জলের মিশ্রণ। প্রতিদিন স্নানের আগে আঙুলে এই মিশ্রণটি নিয়ে উরুতে আস্তে আস্তে ঘষতে থাকুন ক্লকওয়াইজ ও অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ। এক একটি উরুতে অন্তত ৫ মিনিট।
৬) নিতম্বের ভাঁজে, উরু ও যৌনাঙ্গের মিলনস্থল বা কুঁচকিতে কালো ছোপ দূর করতে ভাল কাজ দেয় ওটস। শুকনো ওটসের দানার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তার পরে ওই অংশগুলিতে পেস্টটি দিয়ে স্ক্রাবিং করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন করুন।
৭) লিকোরিস এক্সট্রাক্ট অয়েল রয়েছে এমন স্ক্রাব বাজারে পাওয়া যায়। যাঁদের পেস্ট তৈরি করার সময় থাকে না সপ্তাহের ব্যস্ত দিনে তাঁরা এই স্ক্রাব সপ্তাহে দু’তিনবার ব্যবহার করুন নিম্নাঙ্গের গোপন ভাঁজগুলিতে।
৮) দীর্ঘক্ষণ অন্তর্বাস পরে থাকলে মেয়েদের স্তনের নীচের অংশেও ঘাম ও মৃতকোষ জমে ছোপ পড়ে যায়। নিয়মিত স্নানের আগে সর-ময়দার পেস্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে। একটু ঘষলেই দেখা যাবে ময়লা উঠছে। তাছাড়া সপ্তাহে দু’দিন অল্টারনেট করে উপরে দেওয়া চিন-মধুর মিশ্রণ ও ওটস পেস্ট লাগাতে থাকলে উঠে যাবে কালো ছোপ।
0 Comments